সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। তারপরও একরকম হেসেখেলেই ম্যাচটি জিতেছে ইংলিশরা। সেই সুবাদে সিরিজও। আর এরকমটি হবার মূল কারণ রাতের শিশির। ব্যাট-বল-ফিল্ডিংয়ের লড়াই যতোটা, তার চেয়ে এটিই বেশি পার্থক্য গড়ে দেয়। অঘোষিত ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের জন্য এ শিশিরই দায়ী! ঠিক এমনটিই মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বুধবার দু’ ইনিংসে দু’ রূপে ধরা পড়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট। প্রথম ইনিংসে উইকেটে দারুণ স্পিন ধরেছে, সেইসঙ্গে বল গ্রিপ করেছে। এছাড়া উইকেট মন্থর হওয়ায় বলও এসেছে থেমে। ফলে রান তোলা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বল স্কিড করে সোজা ব্যাটে এসেছে। বল গ্রিপ বা টার্নও করেনি। এতে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে শট খেলা সহজ হয়ে ওঠে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসবই উঠে এসেছে টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠে। মাশরাফি জানান, শিশিরের কারণেই উইকেটের চরিত্র পুরোপুরি পাল্টে যায়। এ কারণেই হেরেছি আমরা। পরের ইনিংসে স্পিনাররা টার্ন পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে ব্যাট করা সহজ হয়ে ওঠে। অথচ তা কঠিন হবার কথা ছিল। যে পরিমাণ শিশির পড়েছে এর অর্ধেক পড়লেও ম্যাচটি অন্যরকম হতে পারতো।
এ স্টেডিয়ামে ২২৫ রানের বেশি তাড়া করে এর আগে কেউ জিততে পারেনি। তাই মনে হচ্ছিল ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ ইংল্যান্ড ২৭৭ রান তাড়া করলো অনায়াসে।
নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ২৭৭ রান যথেষ্টরও বেশি মনে হচ্ছিলো। কারণ, প্রথম ইনিংসের উইকেটে আদিল রশিদ, মইন আলীরা ব্যাপক টার্ন পেয়েছে। আমাদের স্পিনাররা তা পেলে পক্ষেই ফলাফল আসতে পারতো। কিন্তু শিশিরের কারণে তা হয়ে ওঠেনি।
তবে ভালো খেলায় ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি ক্যাপ্টেন কুল। মাশরাফি বলেন, সিরিজ জয়ের জন্য ইংলিশদের অভিনন্দন। সেই সঙ্গে ৩০০ রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও তা না করতে পারার আফসোসও ঝরে পড়েছে তার কণ্ঠে। তিনি মনে করেন, রান আর কিছুটা বেশি হলে অন্তত আরো কিছুক্ষণ ফাইট করা যেতো।
ডিএইচ